দুঃখে যাদের জীবন গড়া তাদের পাশে দাঁড়াই আমরা
দুঃখে যাদের জীবন গড়া: তাদের পাশে দাঁড়াই আমরা
একটি ছোট গ্রামে বাস করতেন রাহিম চাচা। জীবন তাঁকে কখনও দয়া করেনি। ছোটবেলায় পিতৃহারা হয়ে মায়ের কাছে বড় হয়েছেন। মায়ের একমাত্র আয়ের উৎস ছিল অন্যের বাড়িতে কাজ করা। পড়াশোনা করবার খুব ইচ্ছে থাকলেও পরিস্থিতি তাঁকে সেই সুযোগ দেয়নি।
রাহিম চাচা বড় হতে হতে জীবনের প্রতিটি দুঃখের সঙ্গে আপস করতে শিখেছিলেন। নিজের পরিবারে অভাব থাকলেও তিনি গ্রামের অন্যদের সাহায্য করতে কখনো পিছপা হননি। তাঁর বিশ্বাস ছিল, "দুঃখ ভাগ করলে তা হালকা হয়।"
একদিন গ্রামের ছোট্ট মেয়ে রিনি কান্নায় ভেঙে পড়ে রাহিম চাচার কাছে আসে। তার বাবার অসুস্থতার জন্য চিকিৎসা করাতে পারছিল না। রাহিম চাচা সঙ্গে সঙ্গে নিজের সামান্য সঞ্চয় দিয়ে রিনির বাবার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। শুধু তাই নয়, তিনি গ্রামের মানুষের কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন করেন।
গ্রামের লোকেরা রাহিম চাচার ডাকে সাড়া দেয়। সবাই মিলে একত্র হয়ে রিনির বাবার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহ করে।
এই গল্প আমাদের শিখিয়ে দেয়, জীবন যতই কঠিন হোক, অন্যের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমাদের সদিচ্ছা থাকলে সব সম্ভব। দুঃখে যাদের জীবন গড়া, তাদের পাশে দাঁড়ালে সমাজ আরও সুন্দর এবং মানবিক হয়।
আমরা যদি সবাই মিলে এভাবে একে অপরের পাশে দাঁড়াই, তবে পৃথিবী হবে আরও উজ্জ্বল।
No comments:
Post a Comment