কবি নজরুল, তুমি করিয়াছ ভুল! দাড়ি না রাখিয়া রাখিয়াছ বাবড়ি চুল!!
"কবি নজরুল, তুমি করিয়াছ ভুল! দাড়ি না রাখিয়া রাখিয়াছ বাবড়ি চুল!!"—এই পঙক্তিটি কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী ও বাউণ্ডুলে ভাবমূর্তির সঙ্গে রসিকতাপূর্ণভাবে যুক্ত। এটি মূলত একসময়ের জনপ্রিয় মজার উক্তি, যা তাঁর চেহারার সঙ্গে সমাজের প্রচলিত মানসিকতার এক বিদ্রূপাত্মক তুলনা করে।
গল্পের সম্ভাব্য রূপ: "নজরুলের বাবড়ি চুল"
একবার এক তরুণ কবি, যিনি ছিলেন সমাজের প্রচলিত রীতিনীতির বিরুদ্ধে বিদ্রোহী, তিনি এক চায়ের দোকানে বসে আছেন। তাঁর মাথায় বাবড়ি চুল, চোখে তীব্র বিদ্রোহের দীপ্তি। আশপাশের মানুষজন তাঁকে দেখে কৌতূহলী, কেউ কেউ খানিকটা বিরক্তও।
একদিন গ্রামের এক বয়স্ক মৌলভি সাহেব দোকানে এসে নজরুলকে দেখে বললেন,
— বাবা, তুমি তো বড় কবি! কিন্তু একটা কথা, তুমি কি একটু ভুল করনি?
নজরুল কৌতূহলী হয়ে জানতে চাইলেন,
— কেমন ভুল, চাচা?
মৌলভি হেসে বললেন,
— দাড়ি না রেখে বাবড়ি চুল রেখেছো, এ কেমন কথা!
সঙ্গে সঙ্গে আশপাশের সবাই হেসে উঠল। কিন্তু নজরুল থামলেন না। তিনি হাসিমুখে উত্তর দিলেন,
— চাচা, দাড়ি তো গুরুগম্ভীর মানুষের জন্য, আমি তো এখনো তরুণ, আমি বাতাসে উড়তে চাই!
চায়ের দোকানটি হাসিতে গমগম করে উঠল।
এরপর থেকে, মজার ছলে, অনেকেই বলত, "কবি নজরুল, তুমি করিয়াছ ভুল! দাড়ি না রাখিয়া রাখিয়াছ বাবড়ি চুল!!" কিন্তু নজরুলের বাবড়ি চুল, তাঁর বিদ্রোহী মন, তাঁর সৃষ্টিশীলতা—এসব কখনো ভুল ছিল না, বরং তা ছিল এক নবযুগের সূচনা।
শেষকথা:
এই গল্পের মূল ভাব হলো—নজরুল ছিলেন প্রচলিত ধ্যানধারণার বাইরে চিন্তা করা একজন বিদ্রোহী মানুষ। তাঁর বাবড়ি চুল শুধু বাহ্যিক চেহারার পরিচায়ক নয়, বরং তা তাঁর মুক্তচিন্তা ও স্বাধীনচেতা মনোভাবের প্রতীক।
No comments:
Post a Comment