বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আজ সোমবার শেষ সভা, যে কোন সময় প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে : রাজউক চেয়ারম্যান দেশের অর্থনীতি ঝুঁকির মুখে পড়েছে। আবাসন খাত সংশ্লিষ্ট লিংকেজ শিল্পগুলোকে উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে। গত ২ বছর ধরে নকশা অনুমোদন কমেছে এবং আবাসন খাতে স্থবিরতা নেমে এসেছে। ফলে খাতের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে বেকার হয়েছে লক্ষাধিক চাকরিজীবী :রিহ্যাব
আবাসনে মরণফাঁদ ‘ড্যাপ’
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ঢাকাকে বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে নতুন বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) প্রণয়ন করেছে, যা ২০২২ সালের আগস্ট থেকে কার্যকর হয়েছে। তবে, এই ড্যাপ নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক ও সমালোচনা চলছে।
আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) দাবি করছে, নতুন ড্যাপে ফ্লোর এরিয়া রেশিও (এফএআর) নির্ধারণে বৈষম্য রয়েছে। পরিকল্পিত এলাকাগুলোতে (যেমন গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি) এফএআর বেশি ধরা হয়েছে, ফলে সেখানে উঁচু ভবন নির্মাণ করা যাবে। অপরদিকে, অপরিকল্পিত এলাকাগুলোতে (যেমন মিরপুর, মোহাম্মদপুর, বাড্ডা, বাসাবো) এফএআর কম থাকায় সেখানে ভবনের আয়তন কম হবে, যা আবাসন খাতের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করছে। citeturn0search0
রিহ্যাবের নেতারা বলছেন, ড্যাপ কার্যকর হওয়ার পর থেকে জমির মালিকরা ভবন নির্মাণে আগ্রহ হারাচ্ছেন, নতুন প্রকল্প নেওয়ার হার কমেছে, এবং ফ্ল্যাটের দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাদের মতে, ড্যাপ সংশোধন না করা হলে আবাসন খাত বড় ধরনের হুমকির মুখে পড়বে।
অন্যদিকে, নগর পরিকল্পনাবিদরা মনে করেন, ড্যাপের বিকল্প নেই এবং এটি শুধু আবাসন নয়, সম্পূর্ণ শহরের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন। তারা বলছেন, ড্যাপের সাথে আবাসনের সরাসরি সম্পর্ক নেই এবং মিড-রেঞ্জ ডেভেলপমেন্ট পদ্ধতি অনুসরণ করে আবাসন সংকট সমাধান করা যেতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা আরও উল্লেখ করেছেন, ঢাকার আশেপাশের এলাকাগুলোতে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, কর্মসংস্থান ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করা হলে মানুষ সেখানে বসবাসে আগ্রহী হবে, যা ঢাকার জনসংখ্যার চাপ কমাতে সহায়ক হবে। তবে, নতুন ড্যাপে এই বিষয়গুলোতে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে সমালোচনা রয়েছে।
সর্বোপরি, ড্যাপ নিয়ে বিতর্ক ও সমালোচনা অব্যাহত রয়েছে, এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো এর সংশোধন ও বাস্তবায়ন নিয়ে বিভিন্ন মতামত প্রদান করছে।
No comments:
Post a Comment