Nur News Blog

variety

Friday, February 28, 2025

‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ স্লোগানে নতুন দল এনসিপি’র আত্মপ্রকাশ আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন; এ ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছেন হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম, সামান্তা শারমিন, আরিফুল ইসলাম আদীব, ডা. তাসনিম জারা, নাহিদা সারওয়ার নিবা, নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী, আব্দুল হান্নান মাসউদ সেকেন্ড রিপাবলিক গড়ার প্রত্যয়

 

‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ স্লোগানে নতুন দল এনসিপি’র আত্মপ্রকাশ আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন; এ ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছেন হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম, সামান্তা শারমিন, আরিফুল ইসলাম আদীব, ডা. তাসনিম জারা, নাহিদা সারওয়ার নিবা, নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী, আব্দুল হান্নান মাসউদ

সেকেন্ড রিপাবলিক গড়ার প্রত্যয়

Wednesday, February 26, 2025

নতুন ছাত্র সংগঠনের আত্মপ্রকাশ হাতাহাতি দিয়েই পথচলা শুরু

 

নতুন ছাত্র সংগঠনের আত্মপ্রকাশ

হাতাহাতি দিয়েই পথচলা শুরু

‘স্টুডেন্টস ফার্স্ট’ ও ‘বাংলাদেশ ফার্স্ট’ স্লোগান সামনে রেখে এবং ছাত্র-নাগরিকের স্বার্থ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আত্মপ্রকাশ করেছে ‘গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ’ নামে নতুন ছাত্র সংগঠন। কিন্তু কমিটি ঘোষণার শুরুতেই তারা নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন। দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির মধ্য দিয়ে অবশেষে আত্মপ্রকাশ করেছে ছাত্রদের এই নতুন ছাত্র সংগঠন। নতুন এ সংগঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়কদের নিয়ে গঠিত হয়েছে। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হয়েছেন আবু বাকের মজুমদার। গতকাল বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ সংগঠনের কমিটিতে পদ পাওয়া-না পাওয়া নিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কয়েক দফা হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। ধস্তাধস্তি, পরনের কাপড় ছিঁড়ে ফেলা ইত্যাদি সঙ্ঘাতের মধ্য দিয়েই নতুন সংগঠন গড়া হলো। ছাত্র সংগঠনটির সদস্যসচিব হিসেবে জাহিদ আহসান, মুখ্য সংগঠক হিসেবে তাহমিদ আল মুদাসসির দায়িত্ব পেয়েছেন।




Sunday, February 23, 2025

ডিসি-এসপি-ওসি বাধ্যতামূলক অবসরে অধরা চার ইসি

 

ডিসি-এসপি-ওসি বাধ্যতামূলক অবসরে

অধরা চার ইসি



তারা ইতিহাসকে বদলে দিতে পারতেন। নির্মোহভাবে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করলে নিজেরাও হতে পারতেন মহীয়ান। সেটি তারা করেননি। বরং প্রলুব্ধ হয়েছেন হাসিনার উচ্ছিষ্টের প্রতি। হাসিনার ফ্যাসিজমের যাত্রাপথে দীর্ঘ লাল কার্পেট বিছিয়ে দিয়েছিলেন তারা। মাফিয়াতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথকে করেছিলেন কুসুমাস্তীর্ণ। ‘নির্বাচন’ নামক বিষয়টিকেই পরিণত করেছিলেন তামাশায়। হাসিনার ডিজাইনে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করেছিলেন রক্তের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত নির্বাচনী ব্যবস্থাকে। শুধুমাত্র হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে হাতে ধরে ধ্বংস করা হয় নির্বাচন কমিশন। অবশ্য এর বিনিময়ও পেয়েছেন এর কুশীলবরা। ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যেকে হয়েছেন লাভবান। অর্থ-বিত্তে ফুলে- ফেঁপে ঢোল হন তারা। সুযোগ-সুবিধা, নিরাপত্তা, সেফ এক্সিট,দায়মুক্তিসহ সকল ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন জাতিসংঘ স্বীকৃত গণহত্যাকারী হাসিনা। যারা শেখ হাসিনাকে ‘খুনি হাসিনা’ হওয়ার ভিত্তি-ভূমি রচনা করেছিলেন সেই কুশীলবরা এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। সরকার হয়তো বাতকা বাত বলছে, হাসিনার মাফিয়াতন্ত্রের সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। প্রত্যেককে বিচারের আওতায় আনা হবে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, নির্বাচন কমিশনে থাকা কুশীলবদের তেমন কাউকেই গত ৬ মাসে আইনের আওতায় আনা হয়নি। গ্রেফতারতো দূরের কথা। এই বিলম্বের মধ্য দিয়ে দেশবাসীর কাছে এই বার্তাই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, অন্তর্বর্তী সরকার তাদের গ্রেফতার এবং বিচারের মুখোমুখি করার প্রশ্নে কালক্ষেপণ করে প্রকারান্তে ‘ছাড়’ দিচ্ছে। তাদের ‘সেফ এক্সিট’র সময় দিচ্ছে। যদিও ৫ আগস্টের পর বিগত চারটি নির্বাচন কমিশনের অনেক কর্মকর্তাই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। হাসিনা উৎখাতের পরপরই পালিয়েছেন তারা। কুশীলবদের দেশত্যাগে ইমিগ্রেশনে নিষেধাজ্ঞা হয়তো দেয়া আছে। কিন্তু এর মধ্যেই দেশত্যাগ করেছেন অনেকে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, বিগত চার নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি),সকল কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব এবং গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের ৫ আগস্টের পরপরই গ্রেফতার করা জরুরি ছিলো।

চার নির্বাচন কমিশনের অপরাধ কী ? : সংবিধানের ১১৮ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত নির্বাচন কমিশন। স্বভাবজাতভাবে এটি স্বাধীন সংস্থা। অনধিক চার সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত হয় কমিশন। রয়েছে নিজস্ব স্বাধীন ‘নির্বাচন কমিশন সচিবালয়’। ‘নির্বাচন কমিশন সচিব’ কমিশনের সাচিবিক দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সালে আ’লীগ ক্ষমতায় আরোহণ করে সংবিধানের ১১৮(৪) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী স্বতন্ত্র সচিবালয় প্রতিষ্ঠার আইন করে। যার প্রকৃত উদ্দেশ্য ছিলো স্বাধীন নির্বাচন কমিশনে আমলাতন্ত্রের ক্ষমতাকে সুসংহত করা। ‘নির্বাচন কমিশন আইন’ এবং ‘নির্বাচন কমিশন সচিবালয়’ আইনে নির্বাচনী অপরাধের জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী, নির্বাচন কমিশনের অধীনস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যক্তিগত অপরাধের জন্য বিভিন্ন ধরনের শাস্তির বিধান রয়েছে। অথচ দু’টো আইনেই অস্পষ্ট রাখা হয়েছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, কমিশন সদস্য এবং সচিবের অপরাধের শাস্তির বিষয়টি। ২০০৮-২০২৪ সাল পর্যন্ত নির্বাচনগুলোর অভিজ্ঞতা থেকে বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হলেও ইসিকে দায়বদ্ধ করার সুস্পষ্ট বিধান থাকা প্রয়োজন। ২০০৮ সালে ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরপেক্ষ ভূমিকায় না থেকে বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপিকে খন্ড-বিখন্ড করার চেষ্টা, ২০১৪ সালের একতরফা ১০ম সংসদ নির্বাচন, ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘দিনের ভোট রাতে’ এবং সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘আমি-ডামি’র নির্বাচন। চারটি নির্বাচনেই নির্বাচন কমিশনের দায় রয়েছে। কারণ সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন কমিশনারগণ মূলত সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান করার শপথ নিয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচনের নামক নাটক মঞ্চস্থ করে হাসিনার ক্ষমতাকে নিরঙ্কুশ করার মধ্য দিয়ে শপথ ভঙ্গ করেছেন তারা। সাংবিধানিক পদে আসীন ব্যক্তিগণ ‘শপথ আইন-১৮৭৩’র আওতায় শপথ গ্রহণ করেন। কিন্তু শপথ ভঙ্গ করলে কি শাস্তি হবে-আইনে সেটি নেই। অর্থাৎ, বিগত চারটি নির্বাচন কমিশন দল ভাঙার চেষ্টা, ভোটারবিহনী নির্বাচন, রাতের ভোট এবং যে ‘ডামি নির্বাচন’ করেছেন এ জন্য তাদের শাস্তির মুখোমুখি করা যাবে না।


Saturday, February 22, 2025

চীনের বন্ধুত্বে বহুমাত্রিক সম্ভাবনা

 উন্নয়ন, বিনিয়োগ-শিল্পায়ন, নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষায় বহুমুখী গুরুত্ব চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-ঘুনধুম থেকে মিয়ানমার হয়ে চীনের কুনমিংয়ে সহজ যোগাযোগের সুবর্ণ সুযোগ : চীন ও চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচলে শুভ সঙ্কেত

চীনের বন্ধুত্বে বহুমাত্রিক সম্ভাবনা


চীনের বন্ধুত্বে বহুমাত্রিক সম্ভাবনা

বিশ্ব রাজনীতিতে চীন এক গুরুত্বপূর্ণ শক্তি, যার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে দেশগুলো বহুমাত্রিক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে পারে। অর্থনীতি, প্রযুক্তি, অবকাঠামো, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের ক্ষেত্রে চীনের বন্ধুত্ব নানামুখী সুফল বয়ে আনতে পারে।

বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য চীনের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক অর্থনৈতিক অগ্রগতির এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে। ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ (BRI) এর মাধ্যমে চীন উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ব্যাপক অবকাঠামোগত সহায়তা দিচ্ছে। বাংলাদেশে পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেলসহ বিভিন্ন প্রকল্পে চীনের বিনিয়োগ এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ।

শুধু অবকাঠামো নয়, প্রযুক্তি ও শিক্ষাক্ষেত্রেও চীনের সঙ্গে বন্ধুত্ব নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি করছে। চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে হাজারো বাংলাদেশি শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা নিচ্ছে, যা ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে জ্ঞান ও দক্ষতার বিনিময় বাড়াবে।

তবে বন্ধুত্বের এই সম্পর্ককে কেবল অর্থনৈতিক সহযোগিতায় সীমাবদ্ধ না রেখে সাংস্কৃতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ককেও এগিয়ে নিতে হবে। পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং স্বার্থ সংরক্ষণ করে এই সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করা সম্ভব।

চীনের সঙ্গে বন্ধুত্ব শুধু দ্বিপাক্ষিক নয়, বরং বৈশ্বিক ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের অবস্থানকে শক্তিশালী করতে পারে। বাণিজ্য, প্রযুক্তি, শিক্ষাব্যবস্থা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে চীনের বন্ধুত্ব বিশ্ব উন্নয়নে এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিতে পারে।

Friday, February 21, 2025

একুশে বইমেলায় উপচেপড়া ভিড় মুক্ত বাতাসে শহীদদের স্মরণ

 

একুশে বইমেলায় উপচেপড়া ভিড়

মুক্ত বাতাসে শহীদদের স্মরণ



একুশে বইমেলায় উপচেপড়া ভিড়: মুক্ত বাতাসে শহীদদের স্মরণ

একুশে বইমেলা, বাংলা সাহিত্যের এক বিশেষ উত্সব, প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। এই মেলা কেবল বইপ্রেমীদের জন্য নয়, একুশে ফেব্রুয়ারির ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর একটি উপলক্ষও বটে।

মেলার প্রথম দিকেই ভিড় জমে যায়। বইয়ের পাতায় পাতায় ডুবে যেতে চায় পাঠকরা, আর লেখকরা তাদের নতুন প্রকাশিত বই নিয়ে মানুষের মাঝে শিহরণ তুলে দেন। কিন্তু একুশে ফেব্রুয়ারির দিনে মেলার ভিড় যেন আরও বেশি অনুভূত হয়। কিছুটা অবাক করা, কিছুটা আবেগময়, কিন্তু সর্বোপরি একাত্মতার এক নিদর্শন।

মেলায় আসা হাজার হাজার মানুষ শুধু বই কেনার জন্যই আসেন না, তারা আসেন শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। একুশে ফেব্রুয়ারির মর্মস্পর্শী স্মৃতির সঙ্গে একাত্ম হতে, ভাষার জন্য শহীদদের আত্মত্যাগ স্মরণ করতে। সকাল থেকে শুরু হয় নানা অনুষ্ঠান, আবৃত্তি, আলোচনা, যেখানে ভাষার অধিকার এবং গণতন্ত্রের জন্য যাদের ত্যাগ সেই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

মেলার কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে, নতুন বইয়ের দোকানগুলোর পাশে একটি বড় মঞ্চে মেলা আয়োজকদের পক্ষ থেকে শহীদদের স্মরণে ভাষণ দেওয়া হয়। সেই মুহূর্তে অনুভূত হয়, বই আর ভাষা শুধু বাহন নয়, একেকটি ঐতিহ্য, একেকটি সংগ্রামের চিহ্ন। মেলা যেন এক অনুভূতির অঙ্গন, যেখানে একদিনের জন্য আমরা সবাই ভাষার জন্য এক হতে পারি।

মুক্ত বাতাসে শহীদদের স্মরণ এক অনন্য অনুভূতি সৃষ্টি করে। শহীদ মিনারের কাছে গিয়ে দাঁড়ানো, ফুল দেওয়া, এবং তাদের আত্মত্যাগের কথা মনে করা—সব কিছু মেলে যেন একুশে বইমেলার আবহে। শান্তিপূর্ণ মেলায়, এক টুকরো ইতিহাস যেন জীবন্ত হয়ে ওঠে।

Wednesday, February 19, 2025

‘বিভেদ’ থাকলেও শত্রুর বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য ধরে রাখা অপরিহার্য কুয়েটে ত্রাস :‘আত্মঘাতী রাজনীতি’

‘বিভেদ’ থাকলেও শত্রুর বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য ধরে রাখা অপরিহার্য

কুয়েটে ত্রাস :‘আত্মঘাতী রাজনীতি’


আপনি যে 'কুয়েটে ত্রাস: আত্মঘাতী রাজনীতি' শিরোনামের গল্পটি উল্লেখ করেছেন, তার বিস্তারিত তথ্য বর্তমানে উপলব্ধ নয়। তবে, জাতীয় ঐক্য বজায় রাখা এবং বিভেদের মধ্যেও শত্রুর বিরুদ্ধে একত্রিত হওয়ার গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করা যেতে পারে।

রাজনীতি হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে কিছু ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত কোনো গোষ্ঠী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। যদিও রাজনীতি বলতে সাধারণত নাগরিক সরকারের রাজনীতিকেই বোঝানো হয়, তবে অন্যান্য অনেক সামাজিক প্রতিষ্ঠান, যেমন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান—যেখানে মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বিদ্যমান—সেখানেও রাজনীতি চর্চা করা হয়। রাজনীতি কর্তৃত্ব ও ক্ষমতার ভিত্তিতে গঠিত সামাজিক সম্পর্ক নিয়ে গঠিত। citeturn0search0

জাতীয় ঐক্য একটি দেশের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক বা ধর্মীয় মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও, যখন কোনো জাতি বাহ্যিক শত্রু বা অভ্যন্তরীণ সংকটের মুখোমুখি হয়, তখন ঐক্যবদ্ধ হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে করে জাতি শক্তিশালী হয় এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়।

বাংলাদেশের ইতিহাসে, বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের সময়, জাতীয় ঐক্যের উদাহরণ দেখা যায়। সেই সময়ে, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক গোষ্ঠী একত্রিত হয়ে দেশের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছে। এ ধরনের ঐক্য দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

তবে, যদি কোনো গোষ্ঠী বা প্রতিষ্ঠান অভ্যন্তরীণ বিভেদ বা সহিংসতার শিকার হয়, তা দেশের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এ ধরনের 'আত্মঘাতী রাজনীতি' পরিহার করে, সকলের উচিত পারস্পরিক সম্মান ও সমঝোতার মাধ্যমে জাতীয় স্বার্থে কাজ করা।

সর্বোপরি, বিভেদ থাকা সত্ত্বেও শত্রুর বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য বজায় রাখা একটি দেশের সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য।

Tuesday, February 18, 2025

ব্যবসা-বাণিজ্যে ত্রাহিদশা

 


ব্যবসা-বাণিজ্যে ত্রাহিদশা

শহরের প্রাণকেন্দ্রের ব্যস্ততম বাজারটিতে এখন আর আগের মতো ভিড় নেই। দোকানিরা অলসভাবে বসে আছেন, ক্রেতার অপেক্ষায়। বাজারের প্রবীণ ব্যবসায়ী হাশেম চাচা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন, "এই দশা আগে কখনো দেখিনি!"

পাঁচ বছর আগেও এই বাজার ছিল গমগমে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ক্রেতাদের আনাগোনা ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু এখন অবস্থা সম্পূর্ণ উল্টো। মহামারির ধাক্কা, তারপর অর্থনৈতিক মন্দা, তার ওপর রাজনৈতিক অস্থিরতা—সব মিলিয়ে ব্যবসায়ীদের দিনকাল যেন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।

বিপদের কারণ

১. অর্থনৈতিক মন্দা

Monday, February 17, 2025

‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ কর্মসূচিতে মানুষের ঢল, নদী-তীরের ১১ পয়েন্টে বিএনপি আয়োজিত কর্মসূচিতে জনতার সেøাগানÑ ‘ভারতের কাছে ধর্ণা নয়, চীনের অর্থায়নে তিস্তা প্রকল্পের কাজ শুরু করুন’ তিস্তা মহাপরিকল্পনার বাস্তবায়ন চাই

 

‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ কর্মসূচিতে মানুষের ঢল, নদী-তীরের ১১ পয়েন্টে বিএনপি আয়োজিত কর্মসূচিতে জনতার সেøাগানÑ ‘ভারতের কাছে ধর্ণা নয়, চীনের অর্থায়নে তিস্তা প্রকল্পের কাজ শুরু করুন’

তিস্তা মহাপরিকল্পনার বাস্তবায়ন চাই

Saturday, February 15, 2025

জীবিত বন্ধুদের মধ্যে ফাঁরাক থাকে কিন্তু মৃত বন্ধুদের মধ্যে কোনো ফাঁরাক থাকে না। ...

ট্রাম্পকে নিয়ে অপপ্রচার চালাতে গিয়েও তারা পারল না: প্রধান উপদেষ্টা

 

ট্রাম্পকে নিয়ে অপপ্রচার চালাতে গিয়েও তারা পারল না: প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সরকারের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে একটি পক্ষ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, ছোট-বড়, মাঝারি ও ধনী সব রাষ্ট্রই বাংলাদেশের পক্ষে রয়েছে এবং আন্তর্জাতিক সমর্থন সরকারের প্রতি দৃঢ়। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রথম বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। 

ড. ইউনূস আরও জানান, দেশ, জনগণ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন সরকারের প্রতি রয়েছে, যা বিরোধী পক্ষকে সফল হতে দিচ্ছে না। তারা বিভিন্ন প্রচেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত ট্রাম্পের কাছে অপপ্রচার চালিয়েও কোনো সুবিধা করতে পারেনি। 

এছাড়া, আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বলেন, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত কোনো যোগাযোগ নেই, তবে রিপাবলিকান পার্টিতে তাঁর বন্ধু রয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, সরকারের বিরুদ্ধে বেশিরভাগ অপপ্রচার ভিত্তিহীন এবং তা মূলত ভারতীয় দিক থেকে আসছে। 

Friday, February 14, 2025

গাজা দখল নিয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনা, আরব দেশগুলোর বিকল্প উদ্যোগ

 

গাজা দখল নিয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনা, আরব দেশগুলোর বিকল্প উদ্যোগ

ট্রাম্পের গাজা দখলের পরিকল্পনা এবং আরব দেশগুলোর বিকল্প উদ্যোগ নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা উপত্যকা দখল করে সেখানে নতুন অবকাঠামো উন্নয়ন এবং পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথা বলেছেন। তিনি এই প্রকল্পকে "মধ্যপ্রাচ্যের রিভিয়েরা" বানানোর প্রচেষ্টা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

ট্রাম্পের পরিকল্পনার মূল বিষয়:

  • গাজার নিয়ন্ত্রণ একটি নতুন প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া
  • হামাসকে নির্মূল করা
  • ২.২ মিলিয়ন ফিলিস্তিনিকে মিসর ও জর্ডানে পুনর্বাসন
  • গাজায় বড় আকারে অবকাঠামো উন্নয়ন ও বিনিয়োগ আকর্ষণ

এই পরিকল্পনাকে ফিলিস্তিনিরা সরাসরি তাদের উচ্ছেদ পরিকল্পনা হিসেবে দেখছে এবং আরব বিশ্বেও তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

আরব দেশগুলোর বিকল্প উদ্যোগ:

সৌদি আরব, মিসর, জর্ডান, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বেশ কয়েকটি দেশ ফিলিস্তিনের ভবিষ্যৎ নিয়ে নিজেদের পরিকল্পনা সামনে আনতে শুরু করেছে।

  • গাজার পুনর্গঠন ও মানবিক সহায়তা: আরব দেশগুলো হামাসকে বাইপাস করে সরাসরি গাজার জনগণের জন্য সহায়তা পৌঁছানোর কৌশল গ্রহণ করছে।
  • রাজনৈতিক সমাধান: ফিলিস্তিনিদের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করা হচ্ছে।
  • আন্তর্জাতিক চাপ: ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মাধ্যমে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে এবং এটি মধ্যপ্রাচ্যে আরও অস্থিরতা তৈরি করতে পারে। অন্যদিকে, আরব দেশগুলো বিকল্প কৌশল নিয়ে এগোলেও, ফিলিস্তিন সংকটের সমাধান এখনও অনিশ্চিত।



Thursday, February 13, 2025

হত্যা ও দুর্নীতির বিচার বিলম্বের আশঙ্কা ফ্যাসিস্টদের পক্ষে বিএনপি’র আইনজীবী!

 

হত্যা ও দুর্নীতির বিচার বিলম্বের আশঙ্কা

ফ্যাসিস্টদের পক্ষে বিএনপি’র আইনজীবী!

কবি নজরুল, তুমি করিয়াছ ভুল! দাড়ি না রাখিয়া রাখিয়াছ বাবড়ি চুল!!

 

কবি নজরুল, তুমি করিয়াছ ভুল! দাড়ি না রাখিয়া রাখিয়াছ বাবড়ি চুল!!



"কবি নজরুল, তুমি করিয়াছ ভুল! দাড়ি না রাখিয়া রাখিয়াছ বাবড়ি চুল!!"—এই পঙক্তিটি কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী ও বাউণ্ডুলে ভাবমূর্তির সঙ্গে রসিকতাপূর্ণভাবে যুক্ত। এটি মূলত একসময়ের জনপ্রিয় মজার উক্তি, যা তাঁর চেহারার সঙ্গে সমাজের প্রচলিত মানসিকতার এক বিদ্রূপাত্মক তুলনা করে।

গল্পের সম্ভাব্য রূপ: "নজরুলের বাবড়ি চুল"

একবার এক তরুণ কবি, যিনি ছিলেন সমাজের প্রচলিত রীতিনীতির বিরুদ্ধে বিদ্রোহী, তিনি এক চায়ের দোকানে বসে আছেন। তাঁর মাথায় বাবড়ি চুল, চোখে তীব্র বিদ্রোহের দীপ্তি। আশপাশের মানুষজন তাঁকে দেখে কৌতূহলী, কেউ কেউ খানিকটা বিরক্তও।

একদিন গ্রামের এক বয়স্ক মৌলভি সাহেব দোকানে এসে নজরুলকে দেখে বললেন,
— বাবা, তুমি তো বড় কবি! কিন্তু একটা কথা, তুমি কি একটু ভুল করনি?

নজরুল কৌতূহলী হয়ে জানতে চাইলেন,
— কেমন ভুল, চাচা?

মৌলভি হেসে বললেন,
— দাড়ি না রেখে বাবড়ি চুল রেখেছো, এ কেমন কথা!

সঙ্গে সঙ্গে আশপাশের সবাই হেসে উঠল। কিন্তু নজরুল থামলেন না। তিনি হাসিমুখে উত্তর দিলেন,
— চাচা, দাড়ি তো গুরুগম্ভীর মানুষের জন্য, আমি তো এখনো তরুণ, আমি বাতাসে উড়তে চাই!

চায়ের দোকানটি হাসিতে গমগম করে উঠল।

এরপর থেকে, মজার ছলে, অনেকেই বলত, "কবি নজরুল, তুমি করিয়াছ ভুল! দাড়ি না রাখিয়া রাখিয়াছ বাবড়ি চুল!!" কিন্তু নজরুলের বাবড়ি চুল, তাঁর বিদ্রোহী মন, তাঁর সৃষ্টিশীলতা—এসব কখনো ভুল ছিল না, বরং তা ছিল এক নবযুগের সূচনা।

শেষকথা:

এই গল্পের মূল ভাব হলো—নজরুল ছিলেন প্রচলিত ধ্যানধারণার বাইরে চিন্তা করা একজন বিদ্রোহী মানুষ। তাঁর বাবড়ি চুল শুধু বাহ্যিক চেহারার পরিচায়ক নয়, বরং তা তাঁর মুক্তচিন্তা ও স্বাধীনচেতা মনোভাবের প্রতীক।

 

Wednesday, February 12, 2025

মানবাধিকারের চরম লংঘনকারী হাসিনা

 

জাতিসংঘের ‘ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের’ প্রতিবেদনে ভয়াবহ চিত্র ভারত থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরাতে আইসিসিতে অনুরোধ করার পরামর্শ দিয়েছেন ফলকার টুর্ক র‌্যাব বিলুপ্তির পাশাপাশি বিজিবি ও ডিজিএফআইয়ের কর্মকাণ্ড সীমিত করার সুপারিশ করা হয়েছে দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে এবং মানুষের নিরাপত্তা দিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা বিচার প্রক্রিয়ার আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পূরণ না করলে জাতিসংঘ তথ্য-উপাত্ত দেবে না : রোরি মুনগোভেন





Tuesday, February 11, 2025

আন্তর্জাতিক ইমেজ ধরে রাখতে ইতিহাস গড়তে চান ড. ইউনূস বিনিয়োগে খরা কাটছে না : দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা দিতেই ডিসেম্বরে ভোট সর্বত্রই নির্বাচনের ঢেউ

 আন্তর্জাতিক ইমেজ ধরে রাখতে ইতিহাস গড়তে চান ড. ইউনূস বিনিয়োগে খরা কাটছে না : দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা দিতেই ডিসেম্বরে ভোট

সর্বত্রই নির্বাচনের ঢেউ


Monday, February 10, 2025

নারীর চক্রান্ত ভয়ঙ্কর, কিন্ত আল্লাহর কৌশল সূক্ষ্ম। অতএব, হে যুব-যুবা- তোমরা আল্লাহর কৌশলকে আঁকড়ে ধর।

 

নারীর চক্রান্ত ভয়ঙ্কর, কিন্ত আল্লাহর কৌশল সূক্ষ্ম। অতএব, হে যুব-যুবা- তোমরা আল্লাহর কৌশলকে আঁকড়ে ধর।



নারীর চক্রান্ত বনাম আল্লাহর কৌশল

একদা এক যুবক, নাম তার সালেহ, ইবাদতগুজার ও সৎচরিত্রের অধিকারী ছিল। সে জ্ঞান ও নৈতিকতায় অন্যদের থেকে আলাদা ছিল, তাই সমাজের অনেকে তাকে শ্রদ্ধা করত। কিন্তু তার সততা ও তাকওয়া কিছু মানুষের জন্য ছিল ঈর্ষার কারণ।

গ্রামের এক ধনী ব্যক্তি, যার নাম ছিল হাসান, তার এক সুন্দরী কন্যা লায়লা সালেহকে পছন্দ করত। লায়লা চেয়েছিল যে সালেহ তাকে বিয়ে করুক, কিন্তু সালেহ জানত যে লায়লা নৈতিকভাবে খুব বেশি দৃঢ় নয়। সে ধন-সম্পদের লোভী ও অহংকারী ছিল। সালেহ বিনীতভাবে তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করল।

এই প্রত্যাখ্যান লায়লার হৃদয়ে প্রতিশোধের আগুন জ্বালিয়ে দিল। সে পরিকল্পনা করল কিভাবে সালেহকে কলঙ্কিত করা যায়। একদিন সে লোকদের সামনে এসে কান্নাকাটি করে বলল,
— "সালেহ আমাকে লোভ দেখিয়ে আমার ইজ্জত লুটে নিতে চেয়েছিল! আমি তাকে বাধা দেই, তাই সে আমাকে অপমান করে চলে গেছে।"

গ্রামের লোকেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠল। এত সৎ ও ধার্মিক মানুষ এমন কিছু করতে পারে, তা বিশ্বাস করতে কষ্ট হলেও, লায়লার প্রভাব এবং কান্নাকাটির ফলে সবাই সন্দেহে পড়ে গেল। সালেহকে ধরে এনে বিচার বসানো হলো।

কিন্তু আল্লাহর কৌশল সূক্ষ্ম!

এক বৃদ্ধ আলেম এগিয়ে এসে বললেন,
— "আমরা কারো অভিযোগ শুনে বিচার করব না। আল্লাহর ন্যায়বিচার দেখার জন্য আমরা আল্লাহর ওপর ভরসা করব।"

তিনি লায়লাকে কসম করতে বললেন যে, যদি সে সত্য বলে থাকে, তবে যেন সে আল্লাহর নাম নিয়ে বলে। লায়লা এক মুহূর্তের জন্য থমকে গেল। কারণ সে জানত, সে মিথ্যা বলছে। একবার আল্লাহর নামে মিথ্যা শপথ করলে তার পরিণতি হবে ভয়াবহ!

তার মুখ ফ্যাকাশে হয়ে গেল, সে কথা বলতে পারল না। তখন উপস্থিত জনতা বুঝতে পারল যে আসল সত্য কী। তারা বুঝল যে লায়লা চক্রান্ত করেছিল এবং সালেহ নির্দোষ।

আল্লাহর কৌশলই শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হলো। কারণ তিনি সর্বজ্ঞ, সুবিচারকারী।

উপদেশ

হে যুবক-যুবতী! পৃথিবীতে বহু চক্রান্ত হতে পারে, কিন্তু আল্লাহর কৌশলই সর্বোত্তম। তাই সবসময় সত্যের পথে থাকো, ধৈর্য ধরো, এবং আল্লাহর ওপর ভরসা রাখো। কেননা, চক্রান্ত যতই ভয়ঙ্কর হোক না কেন, আল্লাহর ন্যায়বিচার সব কিছুকে ছাপিয়ে যাবে!


আল্লাহু নাম যতই জপি ...

 আল্লাহু নাম যতই জপি ...


"আল্লাহু নাম যতই জপি..."
(একটি হৃদয়ছোঁয়া ইসলামী গল্প)

রিয়াদ ছোটবেলা থেকেই নামাজ-রোজা মেনে চলার চেষ্টা করত। তার দাদু সবসময় বলতেন, "আল্লাহর নাম জপলে মন শান্তি পায়, সব বিপদ কেটে যায়।" ছোট রিয়াদ তখন বিষয়টি পুরোপুরি না বুঝলেও দাদুর সাথে বসে জপত, "আল্লাহু, আল্লাহু..."

কয়েক বছর পর, রিয়াদের দাদু ইন্তেকাল করলেন। এই শোক সামলে উঠতে পারেনি সে। নামাজেও মন বসাতে পারছিল না। একদিন ক্লাস থেকে ফেরার পথে তার সাইকেল দুর্ঘটনার শিকার হলো। রাস্তায় পড়ে থাকতে থাকতে হঠাৎ দাদুর কথা মনে পড়ল—"আল্লাহর নাম জপলে সব বিপদ দূর হয়।" ব্যথা ভুলে সে আস্তে আস্তে বলতে লাগল, "আল্লাহু, আল্লাহু..."

অবিশ্বাস্যভাবে, কিছুক্ষণ পর একজন বৃদ্ধ লোক এসে তাকে তুলে নিলেন, পানি খাওয়ালেন, সাহায্য করলেন হাসপাতালে নিয়ে যেতে। চিকিৎসা শেষে রিয়াদ বুঝতে পারল, দাদুর শেখানো কথাগুলো শুধু মুখে বলার জন্য নয়, বিশ্বাস আর ধৈর্যের মাধ্যমেও তা সত্যি হয়ে যায়।

এরপর থেকে রিয়াদ জীবনের সব ভালো-মন্দ পরিস্থিতিতে একটাই কথা বলে—"আল্লাহু নাম যতই জপি, ততই আমার মন জুড়ায়।"

—শেষ—

এই গল্পটি কেমন লাগল? 😊

Sunday, February 9, 2025

আবাসনে মরণফাঁদ ‘ড্যাপ’

 

বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আজ সোমবার শেষ সভা, যে কোন সময় প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে : রাজউক চেয়ারম্যান দেশের অর্থনীতি ঝুঁকির মুখে পড়েছে। আবাসন খাত সংশ্লিষ্ট লিংকেজ শিল্পগুলোকে উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে। গত ২ বছর ধরে নকশা অনুমোদন কমেছে এবং আবাসন খাতে স্থবিরতা নেমে এসেছে। ফলে খাতের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে বেকার হয়েছে লক্ষাধিক চাকরিজীবী :রিহ্যাব

আবাসনে মরণফাঁদ ‘ড্যাপ’

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ঢাকাকে বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে নতুন বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) প্রণয়ন করেছে, যা ২০২২ সালের আগস্ট থেকে কার্যকর হয়েছে। তবে, এই ড্যাপ নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক ও সমালোচনা চলছে।

আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) দাবি করছে, নতুন ড্যাপে ফ্লোর এরিয়া রেশিও (এফএআর) নির্ধারণে বৈষম্য রয়েছে। পরিকল্পিত এলাকাগুলোতে (যেমন গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি) এফএআর বেশি ধরা হয়েছে, ফলে সেখানে উঁচু ভবন নির্মাণ করা যাবে। অপরদিকে, অপরিকল্পিত এলাকাগুলোতে (যেমন মিরপুর, মোহাম্মদপুর, বাড্ডা, বাসাবো) এফএআর কম থাকায় সেখানে ভবনের আয়তন কম হবে, যা আবাসন খাতের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করছে। citeturn0search0

রিহ্যাবের নেতারা বলছেন, ড্যাপ কার্যকর হওয়ার পর থেকে জমির মালিকরা ভবন নির্মাণে আগ্রহ হারাচ্ছেন, নতুন প্রকল্প নেওয়ার হার কমেছে, এবং ফ্ল্যাটের দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাদের মতে, ড্যাপ সংশোধন না করা হলে আবাসন খাত বড় ধরনের হুমকির মুখে পড়বে। 

অন্যদিকে, নগর পরিকল্পনাবিদরা মনে করেন, ড্যাপের বিকল্প নেই এবং এটি শুধু আবাসন নয়, সম্পূর্ণ শহরের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন। তারা বলছেন, ড্যাপের সাথে আবাসনের সরাসরি সম্পর্ক নেই এবং মিড-রেঞ্জ ডেভেলপমেন্ট পদ্ধতি অনুসরণ করে আবাসন সংকট সমাধান করা যেতে পারে। 

বিশেষজ্ঞরা আরও উল্লেখ করেছেন, ঢাকার আশেপাশের এলাকাগুলোতে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, কর্মসংস্থান ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করা হলে মানুষ সেখানে বসবাসে আগ্রহী হবে, যা ঢাকার জনসংখ্যার চাপ কমাতে সহায়ক হবে। তবে, নতুন ড্যাপে এই বিষয়গুলোতে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে সমালোচনা রয়েছে। 

সর্বোপরি, ড্যাপ নিয়ে বিতর্ক ও সমালোচনা অব্যাহত রয়েছে, এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো এর সংশোধন ও বাস্তবায়ন নিয়ে বিভিন্ন মতামত প্রদান করছে।



Friday, February 7, 2025

Jamiat President at International Conference: 'Let's move forward to build a society based on Tawheed in the light of Quran and Sunnah'

Jamiat President at International Conference: 'Let's move forward to build a society based on Tawheed in the light of Quran and Sunnah'

At the 31st All India Jamiat Ahle Hadeeth Conference held on March 2-3, 2012, in New Delhi, the organization's president, Maulana Asghar Imam Mahadi Salafi, emphasized the importance of building a society grounded in Tawheed (the oneness of Allah) in accordance with the Quran and Sunnah. He highlighted the historical significance of the Ahle Hadeeth movement, noting its dedication to adhering strictly to the teachings of Islam as outlined in the Quran and the practices of the Prophet Muhammad (peace be upon him). The conference featured prominent Islamic scholars, including Imam Dr. Saud Bin Ibrahim As-Shuraim from the Grand Mosque in Makkah, who led prayers and delivered keynote addresses. The event underscored the organization's commitment to promoting pure monotheism and rejecting innovations in religious practices. 





Tuesday, February 4, 2025

আমার সাধ না মিটিল, আশা না পুরিল ...

 

আমার সাধ না মিটিল, আশা না পুরিল ... 



শিরোনাম: "আমার সাধ না মিটিল, আশা না পুরিল ...

রবিন ছোটবেলা থেকেই বড় স্বপ্ন দেখত। ছোট গ্রামে বেড়ে ওঠা রবিনের জীবনে বই আর গল্প ছিল সবকিছু। সে কল্পনার মণিতে হারিয়ে থাকত, রাতের আকাশের নীলিমায় সে ভবিষ্যতের ছবি আঁকত, যেখানে সে একজন বিখ্যাত লেখক হিসেবে চিরকাল স্মরণীয় হবে। তার মনের প্রতিটি কোণে ছড়িয়ে ছিল সাহসী স্বপ্ন, কিন্তু জীবনের তীরছিদ্র বাস্তবতা একদিন তার এই আশা কাঁপিয়ে দিল।

প্রথমে, রবিন যখন স্কুলে লেখালেখিতে মনোযোগী ছিল, তখন শিক্ষকরা তার প্রতিভার প্রশংসা করত। সে লিখত অজানা দেশ, দুর্লভ প্রেম, আর বেদনার অনন্য কাহিনী। কিন্তু যখন বড়দের চোখে তাঁর লেখার মূল্য যাচাই শুরু হলো, তখন প্রতিটি পদক্ষেপে বাধার মুখোমুখি হতে হলো। কলেজে ঢোকার পর, জীবনের বাস্তবতা তার স্বপ্নকে নরমালি ধ্বংস করে ফেলার চেষ্টা করলো। প্রতিটি প্রতিযোগিতায়, প্রতিটি প্রকাশনার জন্য জমা দেওয়া প্রবন্ধে, রবিন নিজেকে এমন এক দিশাহীন অনুভব করত যেন—"আমার সাধ না মিটিল, আশা না পুরিল"।

একদিন, যখন রবিন এক লালিতাভ দুপুরে আরেকটি প্রতিকূলতা মোকাবেলা করছিল, সে নিজের একমাত্র সঙ্গী—তার নোটবই—তে সেই বাক্যটি চিরকাল স্মরণীয়ভাবে লিখে রাখল। তখনই তার সামনে হাজির হলেন একজন বৃদ্ধ, নাম দেবাশীষ। দেবাশীষের চোখে ছিল জীবনের গভীরতা আর ক্ষতিগ্রস্ত অভিজ্ঞতার ছাপ। তিনি রবিনের নোটবই পড়ে বললেন, “প্রতিটি লেখক, প্রতিটি শিল্পী একবারই এই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যায়। যখন তুমি ভাববে, ‘আমার সাধ না মিটিল, আশা না পুরিল’, তখন বুঝতে পারো, তুমি সত্যিকারের পথে আছো।”

দেবাশীষ তার জীবনের কাহিনী শেয়ার করলেন—কীভাবে বহুবার ব্যর্থতার মধ্য দিয়ে তিনি নিজেকে খুঁজে পেয়েছিলেন, কীভাবে প্রতিটি ব্যর্থতা তাকে নতুন দিশা দেখিয়েছিল। রবিন ধীরে ধীরে বুঝতে লাগল, সফলতার মানে শুধুই ফলাফল নয়; বরং হলো সেই অনন্ত সংগ্রাম, সেই অন্তহীন প্রচেষ্টা যেখানে আমরা আমাদের সত্তাকে খুঁজে পাই।

সেই দিন থেকেই রবিন তার লেখালেখির উদ্দেশ্য নতুন করে নির্ধারণ করল। আর সে বুঝতে পারল, হয়তো তার স্বপ্ন বড়, হয়তো সমাজের চোখে সফলতা আলাদা—but তার নিজের জন্য লিখতে থাকা, অনুভূতির প্রতিচ্ছবি শব্দে রূপান্তর করা, তা ছিল তার সত্যিকারের সাফল্য। প্রতিটি ব্যর্থতা, প্রতিটি অগ্রসর হতে না পারার কষ্ট, তাকে আরও গভীরতা ও মানবিকতা প্রদান করলো।

অবশেষে, রবিন প্রকাশনা থেকে সাফল্য পেল না, কিন্তু তার লেখার প্রতি ভালোবাসা, সংগ্রামের গল্প ও অভিজ্ঞতা হয়ে উঠল অসংখ্য পাঠকের প্রেরণা। সে বুঝেছিল, জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ—হোক তা সাফল্য বা ব্যর্থতা—আমাদের গঠন করে। আর সেই সন্ধানই হলো জীবনের প্রকৃত অর্থ।

এভাবেই রবিন তার যাত্রা অব্যাহত রাখল, প্রতিটি নতুন দিনের সাথে নিজেকে আরো ভালোভাবে গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে। "আমার সাধ না মিটিল, আশা না পুরিল" বাক্যটি হয়তো এখনো তার নোটবইয়ের এক পাতা, কিন্তু তা তার মনে করিয়ে দেয়—প্রত্যেকটি ব্যর্থতা একটি শিক্ষা, প্রতিটি হতাশা নতুন আশার সূচনা।

শেষ কথা:
সফলতার পথে হাঁটতে হাঁটতে অনেক সময় ব্যর্থতা ও হতাশার মুখোমুখি হতে হয়, কিন্তু প্রতিটি ব্যর্থতা আমাদের শেখায় যে, প্রকৃত সফলতা মানে শুধু লক্ষ্য অর্জন নয়, বরং সেই যাত্রার প্রতিটি মুহূর্তকে গ্রহণ করা ও এতে থাকা অভিজ্ঞতাকে সজীব করে তোলা।

 

Sunday, February 2, 2025

আমরা সবাই পাপী, নিজের পাপের বাটখারা দিয়ে, অন্যের পাপ মাপি।

 

আমরা সবাই পাপী, নিজের পাপের বাটখারা দিয়ে, অন্যের পাপ মাপি।


আমরা সবাই পাপী

রাতের শহরটা ছিল নীরব। সোহেল সিগারেটের ধোঁয়া উড়িয়ে ফাঁকা রাস্তায় হাঁটছিল। আজকের রাতটা তার জন্য অন্যরকম—একটা বিশাল অন্যায় সে নিজে করেছে, অথচ সারাদিন অন্যদের ভুল ধরেই কাটিয়েছে।

সোহেল একজন জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার। সে সমাজের নানা অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে কথা বলে, মানুষের ভুল ধরিয়ে দেয়, নৈতিকতার পাঠ পড়ায়। আজ দুপুরেই সে একটা ভিডিও বানিয়েছিল, যেখানে এক রাজনীতিবিদের দুর্নীতি ফাঁস করছিল। তার কথায় সবাই বিশ্বাস করে, কারণ সে নিজেকে নিষ্পাপ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে।

কিন্তু রাতের এই ফাঁকা রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে সে জানে, সে নিজেই কত বড় মিথ্যুক।

আজ সন্ধ্যায়, গোপনে সে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা নিয়েছে একটা সত্য লুকানোর জন্য। ঠিক সেই রকম দুর্নীতি, যেটার বিরুদ্ধে সে লড়াই করার অভিনয় করে। কিন্তু এই সত্যটা কেউ জানবে না, কারণ সে ভালো অভিনয় জানে।

হঠাৎ রাস্তার মোড়ে এসে থামল সে। ফুটপাতের পাশে এক বৃদ্ধ দাঁড়িয়ে কাঁপছিলেন, হয়তো খাবারের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সোহেল পকেট থেকে টাকা বের করে দিতে গিয়েও দিল না। মনে পড়ল, বিকেলে সে লাইভে বলেছিল, "গরীবদের সাহায্য করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।"

সে নিজেই বুঝতে পারল—সে যা প্রচার করে, তা মেনে চলে না। কিন্তু এই সত্য কেউ জানবে না।

মনে মনে হাসল সোহেল।

আমরা সবাই পাপী। নিজের পাপের বাটখারা দিয়ে, অন্যের পাপ মাপি- কবি নজরুল

 

আমার আশায় আশায় দিন যে গেল, আশা পূরণ ...

  আমার আশায় আশায় দিন যে গেল, আশা পূরণ ... "আশার শেষ প্রহর" রাতের শেষ প্রহরে জানালার পাশে বসে আছে রাহাত। কফির কাপে ধোঁয়া উঠছে ধীর...